কাওয়ালী হারাম নয়, এর মধ্যকার বাদ্যযন্ত্র ও শিরকযুক্ত কথাবার্তা হারাম! এই হলো প্রথম কথা!
দ্বিতীয় কথা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাওয়ালী হচ্ছে, হাটহাজারী মাদ্রাসায় নয়। দুটোর অবস্থান, সম্মান এক নয়! বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা না*স্তিক, সেকু*ল্যাঙ্গার গোষ্ঠী কাওয়ালীর বিরুদ্ধে কেনো লেগেছে একটু ভাবুন!
ওরা জানে, কাওয়ালী ইসলামী সংস্কৃতি নয়, মুসলিম সংস্কৃতি! আজকে কাওয়ালী হবে আগামীকাল সাইমুম কলরব প্রোগ্রাম করবে! এই আতংকে তারা হামলা করেছে । মুসলিম সংস্কৃতি লালনের অধিকার নিয়ে আওয়াজ তুলুন, সংশোধন করা বা সংশোধিত, পরিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার দায়িত্ব আমাদের।
ধরুন আপনার সন্তান সম্পুর্ণভাবে মাদকাসক্ত, তার চিকিৎসার জন্য মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠাবেন। তো সেখান কি আপনার হেদায়া, কাফিয়া থেকে ফতোয়াযুক্ত শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসা করতে বলবেন?
কোন ঔষধ হালাল, কোনটা হারাম, কোন ঔষধের উপকরণে হারাম আছে এগুলো চেক করে চিকিৎসা করতে বলবেন? এভাবে কি সম্ভব? আমরা যারা ইসলামী সংগীত শুনি তাদের বাদ্যযুক্ত কাওয়ালী শুনার দরকার কি? সেখানে যাওয়ার দরকার কি?
অন্যদিকে যারা হিন্দি, ইংরেজী গান বাজনায় মজে গেছে, যাদের অন্তর থেকে ধর্মকর্ম মুছে গেছে, বছরে একবার দুবার আল্লাহ রসূলের স নাম মুখে আসে তাদের জন্য আপনি কাওয়ালী মেডিসিন হিসেবে ভাবুন না। সমস্যা কোথায়?
দিরিলিস দেখা নিয়ে কত ফতোয়া আসলো কিন্ত আজকের লক্ষ লক্ষ যুবক খারাপ ছবি না দেখে মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য নির্ভর তুর্কি সিরিয়ালে মজে গেছে! এই সুযোগ তাদের পেছনে মেহনত করুন!
তারা প*র্ণ সাইটে, তামিল সিনেমায় ঘুরে বেড়ালো আপনি তাদের পেছনে লাগেননি, মেহনত করেননি। এখন? আপনার ইলমী জোশ আর তাকওয়া একাকার! ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার গোড়াপত্তনের ইতিহাস দেখুন। তারপরে মন্তব্য করুন!
সব শেষে বলবো, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো উপায়ে মুসলিম সংস্কৃতি চর্চার পন্থা উদ্ভাবন করুন। আগে চেয়ারের কোনায় বসুন , চেয়ার একদিন আপনার হবে ইনশাআল্লাহ!